ফ্যাশনবিশেষ খবরসর্বশেষ খবর

অফিসের চেয়ারে তোয়ালে রাখার রহস্য কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, সুখবর ডটকম: বেশির ভাগ অফিসেই খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিটি চেয়ারে একটি করে তোয়ালে রাখা আছে। আগেই জানিয়ে দিই, এটি একটি বিদেশি সংস্কৃতি। তবে দেশি বা বিদেশি যাই হোক না কেন, অফিসে এমন ব্যবস্থা রাখার প্রথা কেন চালু করা হলো–কখনো কি ভেবে দেখেছেন?

এটি মূলত একটি ব্রিটিশ সংস্কৃতি। ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষ রাজত্ব করত, তখন এই সংস্কৃতি ভারত ও বাংলাদেশে চালু করে। অফিসের চেয়ারে তোয়ালে চালু করার অবশ্য একটি কাহিনি প্রচলিত আছে। আর সেটি হলো ব্রিটিশ শাসনের সময় যারা পড়াশোনার পাশাপাশি ইংরেজিটাও শিখে নিয়েছে, তারা যখন উচ্চ পদে নিয়োগ পেতে শুরু করে, তখন ব্রিটিশরা একটি অসংগতি লক্ষ করে।

আর তা হলো, কলকাতার বাঙালি বাবুরা মাথায় বেশি করে তেল দিয়ে অফিসে আসত। এই তেল এতই বেশি যে যখন বাঙালি বাবুরা ক্লান্তিতে চেয়ারে গা এলিয়ে দিত, তখন ব্রিটিশদের মাথায় এ চিন্তা ভর করে যে তাদের দামি চেয়ারগুলো তেলে অপরিষ্কার এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তখন ব্রিটিশরা বাবুদের জন্য অর্ডার দিল প্রতিটি চেয়ারে লাগাও তোয়ালে। এ সিস্টেমে চেয়ার নষ্ট হবে না; বরং তোয়ালে অপরিষ্কার হবে। এতে কোনো বিপত্তি নেই। আবার তোয়ালে ধুয়ে নেয়া যাবে।

অফিসের চেয়ারে তোয়ালে রাখার আরও একটি কারণ আছে। আর তা হলো, গরমের সময় অফিসের সব কর্মীরই ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল।

ব্রিটিশের রাজত্ব শেষ হয়েছে সেই কবেই! তবে এখনও সে রীতি অনেক অফিস মেনে চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য দেশ হিসেবে খ্যাত ব্রিটেন এই সংস্কৃতি চালু করলেও তাদের দেশের অফিসে কিন্তু চেয়ারে তোয়ালে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

কারণ, মাথায় তেল দেয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। এ ছাড়া তাদের জন্য অতীতে সারাক্ষণই থাকত টানাপাখার ব্যবস্থা। আর এখন রয়েছে এসি।

এম এইচ/ আইকেজে

আরও পড়ুন:

লাখ টাকার মধ্যেই ইউরোপের ৭ দেশে ঘুরে আসুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *