জেলা পরিক্রমা

দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের ১২ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

দেশের আরও নতুন ৪ জেলাসহ মোট ১২ জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া শনিবার (২৮ আগস্ট) আগামী ২৪ ঘণ্টার সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে এ তথ্য জানান।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার কুশিয়ারা ছাড়া প্রধান নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দ্রুত বাড়ছে তিস্তাসহ অভ্যন্তরীণ সব নদীর পানি। অন্যদিকে যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, চিনিরপটল, পালপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাঁশহাটা, চকপাড়া, মুন্সিরহাট, গোবিন্দ, নলছিয়া ও ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি, গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের চরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, তারাপুর, কাপাসিয়া, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে পানিবন্দী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সব নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদের পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

/জেড এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *