ভিনদেশ

পাকিস্তানে নির্বাচন প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন ৬ মাস

ডেস্ক প্রতিবেদন, সুখবর বাংলা: আগামী ৩ মাসের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব না বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে আইনি ও প্রক্রিয়াগত জটিলতার কথা বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অন্তত ৬ মাস সময় প্রয়োজন।’

তিনি জানান, বেশ কিছু আসনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আসন সংখ্যা বাড়ানোয় সেখানে সীমানা চিহ্নিতকরণ একটি বড় সমস্যা।

‘এটি খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার,’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কেননা, শুধু অভিযোগ জানানোর জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।’

তবে ৩ মাসের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ শেষ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

এ ছাড়াও, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা প্রয়োজন বলে জানান ওই নির্বাচন কর্মকর্তা।

তার মতে, এসব জটিলতা ছাড়াও নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি জানান, আইন অনুযায়ী ভোটারদের কাছে জলছাপযুক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে হবে। এটি দেশে ছাপানো যায় না বলে দেশের বাইরে থেকে ছাপিয়ে আনতে হবে।

তবে নির্বাচন কমিশন জলছাপের পরিবর্তে নিরাপত্তা চিহ্নযুক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে আইন সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি মনে করেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ও প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত আইনি জটিলতাও আছে যা সুরাহা করা প্রয়োজন।

আগামী ২৯ মে বালুচিস্তানে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরপর, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদে স্থানীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে বলেও সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

‘যদি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতেই হয় তাহলে এসব স্থানীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে,’ যোগ করেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন ইমরান খানের স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *