বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র || দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
ডেস্ক প্রতিবেদন, সুখবর বাংলা: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশকে বেশকিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনে বিশেষ এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুরে ঘণ্টাখানেক চলে এ বৈঠক। শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সব ফোরামে ঢাকার পাশে থাকবে ওয়াশিংটন।
আলোচনায় র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান ছিল বাংলাদেশের। জবাবে প্রক্রিয়া যে জটিল সেটি আবারও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এজন্য একটি প্রক্রিয়া আছে। সেটা সম্পন্ন করা পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আসে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গ। জবাবে, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা যথাযথ আছে বলে দাবি করে, বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে তাদের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করার তাগিদ ছিল অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত চাইলে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে ওয়াশিংটন।
এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠক। আর এই বৈঠকেই দুদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরো পড়ুন:
আজ জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি