ভিনদেশ

বিশ্বের ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মিটছে বায়ু আর সূর্যে!

ডেস্ক প্রতিবেদন, সুখবর বাংলা: জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে পুনর্ব্যবহার যোগ্য জ্বালানি আর পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুতের পথেই হাঁটার চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। সে জন্য বায়ু চালিত টারবাইন বিদ্যুৎ আর সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়ে চলছে বিশ্বের অনেক উন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশ। স্বল্পোন্নত দেশগুলোও সৌর বিদ্যুতের মতো প্রকল্পে ঝুঁকছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলও এখন আলোকিত করছে সৌর বিদ্যুৎ।

নতুন বিশ্লেষণে জানা গেছে, বিশ্বের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ এখন মিটছে সৌর ও বায়ু বিদ্যুতে।

জলবায়ু ও জ্বালানি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এম্বারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ তাদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ১০ শতাংশের বেশি সৌর ও বায়ু থেকে পেয়ে থাকে।

বিশ্ব বিদ্যুতের চাহিদার মোট ৩৮ শতাংশ ২০২১ সালে এসেছে বায়ু, সৌর ও পানি বিদ্যুতের মতো বিশুদ্ধ উৎস থেকে। তবে এবারই প্রথম বায়ু চালিত টারবাইন ও সোলার প্যানেল থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুতের যোগান এসেছে।

২০১৫ সালের তুলনায় সূর্য ও বাতাস থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের হার বেড়েছে দ্বিগুন। নেদারল্যান্ডস, ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো দ্রুতই বায়ু ও সৌর বিদ্যুতে ঝুঁকেছে। তাদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের প্রায় ১০ ভাগের একভাগই এখন আসে সবুজ উৎস থেকে।

গবেষক ডেভিড জোনস বলেছেন, ভিয়েতনাম খুবই বড় উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটিতে ব্যক্তি উদ্যোগে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরকারকে দিলে সেখান থেকে অর্থও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এটা গৃহস্থলিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আকর্ষণ বাড়াচ্ছে। সাথে বড় পরিসরে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সাহায্য করছে।

ডেনমার্কের মতো অনেক দেশের ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ চাহিদা মিটছে সৌর ও বায়ু বিদ্যুতে। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে।

আরো পড়ুন:

আরও ৩ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠালো চীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *