মেট্রোরেলের অপেক্ষায় রাজধানীবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর বাংলা: যানজট থেকে মুক্তি পেতে মেট্রোরেলের অপেক্ষায় রাজধানীবাসী। এ বছরই চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেল ঢাকা ও আশপাশের ছয়টি রুটই চালু হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম ধাপের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন তারা। তাই বেশি বেগ পেতে হবে না পরবর্তী রুটে। এবার জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও কৌশলী হচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
করোনার ধাক্কা সামলে গত কয়েক সপ্তাহে আবারও আগের রূপে ফিরেছে ঢাকা। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা রাজধানীবাসী এখন স্বপ্ন দেখছে মেট্রোরেলকে ঘিরে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলতি বছরেই। আর মতিঝিল যেতে আরও এক বছর। তবু মাথার ওপর এ পথকে ঘিরেই স্বপ্নবোনা নগরবাসীর।
লাইন সিক্সের পাশাপাশি উড়াল-পাতাল মিলিয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত লাইন ওয়ান। ফাইভের নর্দার্ন রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা। সাউদার্ন রুট গাবতলী থেকে আফতাবনগর। পরে এমআরটি লাইন টু গাবতলী থেকে সাত মসজিদ রোড, নিউমার্কেট পলাশী হয়ে চিটাগাংরোড। আর সব শেষ প্রকল্প এমআরটি লাইন ফোর কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ।
এ মুহূর্তে লাইন ফাইভের দুই রুটেই চলছে নকশা প্রণয়নের চূড়ান্ত কাজ। স্টেশন নির্বাচনে সরকারি জমিকেই প্রাধান্য দিয়েই এগোচ্ছে প্রকল্প। এ রুট মাটির নিচে হওয়ার কারণে ব্যক্তিমালিকানা জমি কিংবা ভবন যাই হোক তা অধিগ্রহণে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
মেট্রোরেল লাইন সিক্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুল ওহাব বলেন, আমরা যদি কোনো মানুষের জায়গা নেই এ কাজের জন্য তখন একতলা নেওয়া হবে। সুতরাং উপর থেকে দোতলা মার্কেট করতে পারবেন তিনি। ডিজাইন ফেসে তাদের যদি আমরা ইন করপোরেট করতে পারি, তাহলে তারও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।
লাইন সিক্সের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলছেন কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমেটেডের ব্যবস্থাপনা পরিবালক এম এ এন ছিদ্দিক সময় সংবাদকে বলেন, ২০৩০ সালে এ রুটে মানুষ চলাচল করতে পারবে। আগামী একবছর পরে এটির নির্মাণকাজের দিকে যাব।
ডিসেম্বরে চালু হতে যাওয়া উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ ভাগ।
আরো পড়ুন: