সর্বশেষপ্রবাস বার্তা

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছেন বিশ্ব নেতারা


ফাইল ছবিরোহিঙ্গা সমস্যা যে এখনো বৈশ্বিক আলোচনার অগ্রভাগে রয়েছে আজকের এই অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ তাই প্রমাণ করে। জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনের তৃতীয় দিন দুপুরে রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সভাটি আয়োজন করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ওআইসি, তুরস্ক ইন্দোনেশিয়া, দা গাম্বিয়া এবং বাংলাদেশ।। এসময় উপস্থিত ছিলেন- তুরস্ক, দা গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাজ্যের, মিনিস্টার অব স্টেট ফর সাউথ এশিয়া অ্যান্ড দা কমনওয়েলথ। ইইউ স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর হিউম্যান রাইটস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, নেদারল্যান্ড ফ্রান্স-জার্মানির প্রতিনিধিও বক্তব্য দেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের অবস্থান একটি অস্থায়ী বিষয়। মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে তাদের দেশে টেকসই প্রত্যাবর্তনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। এই বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান। আশিয়ান নেতাদের বিশেষ ভূমিকা তিনি তুলে ধরেন।
এই উচ্চ পর্যায়ের সভার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে কোভিড বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় প্রধানমন্ত্রী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে। উচ্চপর্যায়ের এই সভার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো কোভিড হতে মুক্তি এবং কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশের এই সফলতার মূলে ছিল সবার জন্য চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতকরণ নাগরিকদের বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জীবিকা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফিরিয়ে আনার জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি।
তিনি বলেন, কার্যকর বৈশ্বিক ভ্যাক্সিনেশন নিশ্চিতকরণের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনকে অবিলম্বে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত লটে পেলেজ হোটেলে ৪৮তলার একটি কক্ষে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক সংবাদ সম্মেলন উপরের তথ্যাদি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট মিনিস্টার (প্রেস) নূরে এলাহী মিনা। বাংলাদেশ থেকে আগত ও নিউইয়র্কে বাংলা গণমাধ্যম মিলে ১৪ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *