সীমান্তে আরও মার্কিন সেনা চায় পোল্যান্ড
ডেস্ক প্রতিবেদন, সুখবর বাংলা: রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে সহযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে পোল্যান্ড সীমান্তে অবস্থান করছে মার্কিন সেনার দল। ইতোমধ্যে অনেক ইউক্রেনীয় নাগরিক পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন। পোল্যান্ড সরকারের এক শীর্ষ নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপে তার সৈন্য উপস্থিতি বাড়ানো ও সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে পোল্যান্ডে। এতে দেশটিতে দেখা দিয়েছে নিরাপত্তা সংশয়। জার্মান একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে পোল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী জারোস্লো কাকজিনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বারবার হামলায় ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় লাখ করলে পোল্যান্ড খুশি হবে।
পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রধান ও দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী কাকজিনস্কি বলেন, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ হাজার সৈন্যকে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর ন্যাটোর পূর্ব প্রান্তে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা উচিত। এই সেনারা ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরুর আগে মোতায়েন করা ৮০ হাজার সেনার সঙ্গে মিলে যাবে। তিনি আরও বলেন, পোল্যান্ড তার সীমান্তের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র রাখার জন্য ‘উন্মুক্ত’ থাকবে।
কাকজিনস্কি অভিযোগের সুরে বলেন, জার্মানির ‘মস্কোর প্রতি একটি শক্তিশালী ঝোঁক রয়েছে’ এবং ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার জন্য অবশ্যই উচ্চমূল্য দিতে ইচ্ছুক।
জার্মানি গত মাসে ইউক্রেনকে মিগ ফাইটার জেট দিতে চেয়েছিল এবং পোল্যান্ডও বিমান স্থানান্তরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এটি রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৃহত্তর যুদ্ধকে উসকে দিতে পারে এমন সম্ভাবনায় ওয়াশিংটন অবশেষে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
এর আগে ২৫ মার্চ পোল্যান্ড সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘অযৌক্তিক এবং নির্মম’ হামলার ফলে সৃষ্ট মানবিক ও মানবাধিকার সংকটে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের মিত্র ও অংশীদাররা সাড়া দিচ্ছে, বাইডেন তা নিয়ে আলোচনা করেছেন সেই সফরে।
পোল্যান্ড জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে ২০ লাখের বেশি শরণার্থী। বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে প্রথম সাড়া দিয়েছে পোল্যান্ড।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পরও সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে পোল্যান্ড। যদিও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সনদে বলা হয়েছে, জোটের কোনো সদস্যদেশের ওপর হামলা হলে সেটি পুরো জোটের বিরুদ্ধে হামলা হিসেবে গণ্য হবে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে এই সংঘাত এড়িয়ে চলতেই আগ্রহী ন্যাটো।
আরো পড়ুন: