হাওরগুলোতে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর বাংলা: হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে চলছে ধান কাটার ধুম। ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কিষান-কৃষানিরা। মাঠজুড়ে সোনালি ধানের ম–ম গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তাঁরা। কথা বলার মতো যেন ফুরসত নেই তাঁদের।কৃষক ধান কেটে আঁটি বেঁধে কেউ মাথায় করে, আবার কেউ পরিবহনে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির উঠানে চলছে ধানমাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান নিয়ে কৃষকের যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওরে ৪৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর এবং উঁচু জমিতে ৭৫ হাজার ৪৪০ হেক্টর আবাদ হয়েছে, যার মধ্যে হাওরের ৪৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। আর উঁচু জমিতে কাটা হয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ ধান।
তবে শ্রমিক সংকটের কারণে সঠিক সময়ে গোলায় ধান তোলা নিয়ে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে সংশয়।জানা গেছে, স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে এবার হাওরের ধান কাটা শুরু হলেও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। শ্রমিকের সংখ্যা কম হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। এ ছাড়া ঝড় শিলা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তো থাকছেই।অন্যান্য বছর ধানের বিনিময়ে হাওরের জমির ধান কাটা হতো। এবার নগদ টাকা দিয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে। তারপরও একদিন শ্রমিক পেলে পরের চার-পাঁচ দিন পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নয়ন মনি সূত্রধরের ভাষ্য, শ্রমিক খরচ কিছুটা বেড়েছে; কিন্তু তেমন সংকট নেই। নিচু এলাকার বেশিরভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিচু হাওর এলাকার ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: