পাকিস্তানে দুর্নীতি ফাঁসের দায়ে জিবি কালেক্টর কাস্টমসকেই বদলির অভিযোগ
সুখবর ডেস্ক: পাকিস্তানের গিলগিট বাল্টিস্তানের কালেক্টর কাস্টমস (জিবি) নিসার আহমেদ কিছুদিন আগে বড় রাজস্ব কেলেংকারি ফাঁস করেছিলেন এবং সেই সাথে এ কেলেংকারিতে ডিজি কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স এর ফয়েজ আহমেদের জড়িত থাকার অভিযোগও করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজস্ব সংস্থা নিসার আহমেদকে বদলির আদেশ দিয়েছে।
নিসার আহমেদ অকপটে সত্যি স্বীকার করে বলেছিলেন যে ফয়েজ আহমেদ জিবি কাস্টমস রাজা ওয়াসিমের সাথে অপরাধে যুক্ত। তার ৩০ টন ওজনের কাপড় ও প্রসাধনী সামগ্রীর জন্য গড় শুল্ক ও কর ২৮ লাখ রুপি ও প্রতি কন্টেইনার প্রতি ৩০ লাখ রুপি ঘুষ হিসেবে নিয়ে নামমাত্র কর ও শুল্ক ধার্য করে দেশের রাজস্বে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
যাইহোক, এমন তথ্য সামনে আসার পর অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে এফবিআর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিসার আহমেদকেই বদলি করে দেওয়ার।
এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিসার আহমেদের সমস্ত অভিযোগকে শুধুমাত্র বড় অফিসারদের বিরুদ্ধে নিছক অভিযোগ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
জিবি কাস্টমসের একটি গুরুতর রাজস্ব ক্ষতির কেলেঙ্কারির বিষয়ে কালেক্টরের প্রকাশ, ঊর্ধ্বতন কাস্টমস কর্মকর্তাদের কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এবং এতে এফবিআরের প্রতিক্রিয়া তাদের উত্তরের চেয়ে বেশি প্রশ্নের জন্ম দেয়।
এর আগেও, গত আগস্ট মাসে, পাকিস্তানের সরকার ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউ (এফবিআর) এর ২১ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস) তে স্থানান্তর করেছে।
উল্লেখ্য, এফবিআর হল পাকিস্তান সরকারের একটি কেন্দ্রীয় রাজস্ব সংগ্রহ সংস্থা যা কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচার সংক্রান্ত অপরাধ তদন্ত করে।
২০১৯ সালে, ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে সারা দেশে ২৫০০ জনেরও বেশি এফবিআর কর্মচারীকে বিভিন্ন বিভাগে স্থানান্তর করে।
তবে রদবদল শুধু রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চৌধুরী পারভেজ এলাহির নিয়োগের পরপরই, এই নেতা প্রাদেশিক সরকারের আমলাতন্ত্রেও রদবদল শুরু করেন।